Hero Alom : মেসির গান চুরি; হিরো আলমের নামে জিডি
![]() |
মেসির গান চুরি; হিরো আলমের নামে জিডি |
মেসির গান চুরি; হিরো আলমের নামে জিডি
বগুরার যুবক আশরাফুল আলম সাঈদ। ইউটিউবে সস্তা ভিডিও বানিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। বিভিন্ন আলোচিত সমালোচিত কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যপক পরিচিতি লাভ করেন এই স্ব-ঘোষিত নায়ক। এক কথায় বলতে গেলে রাতারাতি তারকা বনে যান হিরো আলম। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যাকে চাইলেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সব মাধ্যমেই রয়েছে তার অবস্থান।
ডিস ব্যবসা থেকে শুরু করলেও বর্তমানে নির্বাচনের মাঠ কিংবা বিনোদন মাধ্যম দুটোর আলোচনাতেই থাকেন তিনি। প্রতিনিয়তই ভাইরাল হয় তার গান, সিনেমা, মিউজিক ভিডিও এবং তার ব্যক্তিগত মন্তব্যের ভিডিও। এমনকি বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়েও সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন হিরো আলম। কদিন আগেই তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিলো। যা থানা-পুলিশ অবদি গড়ায়।
ফের তার বিরুদ্ধে উঠেছে চুরির অভিযোগ। এ অভিযোগে হিরো আলমের বিরুদ্ধে রাজধানির কলাবাগান থানায় জিডি করা হয়েছে। ৬ এপ্রিল (বুধবার) তারেক আজিজ নিশক নামের এক ব্যক্তি এই সাধারণ ডায়েরিটি করেন। যার নাম্বার হচ্ছে - ২৮৪। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কলাবাগান থানার এস আই মো. ফিরোজ।
সাধারণ ডায়েরিটিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৭ জুলাই যখন ফুটবলের কোপা-আমেরিকা ফাইনাল খেলা চলছিলো তখন একটি গান নির্মাণ করা হয়। ‘ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা’ ম্যাচের আগে এই ম্যাচকে উপলক্ষ করে মেসিকে নিয়ে ‘উই লাভ মেসি’ শিরোনামে গানটি তৈরি হয়। গানটি কার হয়েছিলো ‘বন্ধন টিভি’ নামের একটি অনলাইন টেলিভিশনের জন্য।
গানটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে তা ‘বন্ধন টিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়। পরে কারো অনুমতি না নিয়ে মো. আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলম তার ‘হিরো আলম অফিসিয়াল’ এবং ‘হিরো আলম’ নামক দুটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন। পরবর্তীতে তাকে গান সরিয়ে ফেলতে বললে উল্টো অন্যায়ভাবে বন্ধন টিভির ইউটিউব চ্যানেলে রিপোর্ট করে স্ট্রাইক দেন হিরো আলম। তাছাড়া ফোন কলে বাদি তারেক আজিজ নিশককে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আমার চ্যানেলটি নষ্ট করার হুমকি দেয় এই বিতর্কিত হিরো আলম।
বাদি তারেক আজিজ নিশক জানান, ওই গানটি হিরো আলমকে দিয়েই গাওয়ানো হয়েছে। এ জন্য গানের গীতিকার ও সুরকার ‘আকাশ নিবির’-র মাধ্যমে হিরো আলমকে নগদ অর্থও পরিশোধ করা হয়েছে। হিরো আলম আমাদের গান চুরি করে উল্টো আমাদেরকেই হুমকি দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, গত ৪ মার্চ রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জিডি করেন আকাশ নিবির। যার নাম্বার - ২২৩। তখন আকাশ নিবির জানিয়েছিলেন, ৭ দিনের জন্য ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন আলম। পরে তা ৭ দিন পার হয়ে ৪ মাসে এসে দাঁড়ালেও টাকা ফেরত দেননি তিনি। উল্টো টাকা ফেরত চাইতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও বিভিন্ন হুমকি দিয়েছেন হিরো আলম।
হাঙ্গামা/অর্নব