Pori Moni : পরীমণির পাশে দাড়ালেন তসলিমা নাসরিন

পরীমণির পাশে দাড়ালেন তসলিমা নাসরিন
পরীমণির পাশে দাড়ালেন তসলিমা নাসরিন


পরীমণির পাশে দাড়ালেন তসলিমা নাসরিন


ঢালিউডের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সুন্দরী ও আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মাঝে গত বছর (১৭ অক্টোবর) ভালোবেসে হাত ধরেছিলেন উঠতি অভিনেতা শরিফুল রাজের। ৭ দিনের প্রেমের পর গোপনে বিয়ে করেন তারা। এরমধ্যেই পরীর কোল আলো করে এসেছে তাদের পুত্রসন্তান রাজ্য। কিন্তু বছর পেরোতেই ভেঙ্গে গেলো রাজ-পরীর 'সুখের' সংসার।

৩১ ডিসেম্বর (শুক্রবার দিবাগত রাতে) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে একটি পোস্ট করেন পরীমণি। সে পোস্টেই জানিয়েছেন তাদের বিচ্ছেদের কথা। এদিন ১২টা ৪০ মিনিটে করা সেই পোস্টে পরী লিখেছেন, “হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নাই।”

পরীমণি এই পোস্টে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা বললেও ডিভোর্সের বিষয়ে সরাসরি কিছুই লেখেননি। তবে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানিয়েছেন, এখনো ডিভোর্স হয়নি তাদের। রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। খুব শিগ্রই তালাকনামা পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন পরী।

এদিকে পরীর এমন ক্রান্তিকালে তার পাশে দাড়িয়েছেন বাংলাদেশের আলোচিত নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। পরীর বিচ্ছেদের স্ট্যাটাস দেখে যেনো নিজের অতীত জীবনে ফিরে গেলেন তিনি।

তসলিমা নাসরিন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “পরীমণির জীবনটা অনেকটা আমার জীবনের মতো। মানুষকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে, আঘাত পায়, কাঁদে, সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে, আবার আঘাত পায়, আবার কাঁদে, আবার সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে...। এ যেন একটা চক্রের মতো। সৎ, সরল এবং সংবেদনশীল মানুষই এই চক্রের মধ্যে পড়ে যায়।”

ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশী এই লেখিকা আরো লেখেন, “পরীমণি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। ও যদি মাথা উঁচু করে, মেরুদণ্ড সোজা করে একা বাঁচতে না পারে, তবে আর পারবে কে? আমি পেরেছি। আরও অনেকেই পেরেছে। নিজেকে ভালোবাসলে পারা যায়। আমাদের তো এই দোষ, আমরা নিজেকে ভালোবাসি না। জগতের আর কোনও প্রাণী নয়, এই আমরা মেয়েরাই আমাদের আততায়ীকে ভালোবেসে তার সঙ্গে এক ঘরে, এক ছাদের তলায় বাস করি!”

এর আগে বোট ক্লাব কাণ্ডের সময়ও পরীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তসলিমা। ওই ঘটনায় তখনও পরীমণির পক্ষে বেশ সরব থাকতে দেখা গিয়েছিলো তাকে।

হাঙ্গামা/ধ্রুব
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url