Avatar 2 : The Way of Water অনলাইনে অবমুক্ত (ভিডিও)
| Avatar 2 : The Way of Water |
Avatar 2 : The Way of Water অনলাইনে অবমুক্ত
২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপি মুক্তি দেয়া হয়েছিলো মহাকাব্যিক অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র ‘অ্যাভাটার’। এরপর থেকে দর্শকদের দাবি ছিলো এই সিনেমার সিক্যুয়ালের। কিন্তু নির্মাতা জেমস ক্যামেরন সিক্যুয়াল নির্মানে অনাগ্রহী ছিলেন। এক পর্যায়ে সবার অনুরোধে নির্মাণের ঘোষণা দেন এর সিকুয়াল ‘অ্যাভাটার ২’ এর। সাথে আরো জানান, এই ফ্রান্জাইজির আরো বেশ কয়েকটি কিস্তি নির্মাণ করবেন তিনি।
ক্যামেরনের এমন ঘোষণার পর পুরো বিশ্ব অপেক্ষায় ছিলো ‘অ্যাভাটার ২’ এর। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। আগামী ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে বিশ্বব্যাপি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘অ্যাভাটার ২’। এই সিক্যুয়েলের নাম রাখা হয়েছে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’। ‘অ্যাভাটার’ মুক্তির দীর্ঘ ১৩ বছর পর মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি। নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, ‘অ্যাভাটার’-এর আরো বেশ কয়েকটি কিস্তি নির্মাণাধীন রয়েছে। যা যথাক্রমে ২০২৪, ২০২৬ ও ২০২৮ সালে মুক্তি দেয়া হবে।
‘অ্যাভাটার ২’এর মুক্তি উপলক্ষে প্রচারণার অংশ হিসেবে এই সিনেমার ট্রেলার অবমুক্ত করা হয়েছে অনলাইনে। ২ নভেম্বর (বুধবার) অ্যাভাটার ফ্রাঞ্জাইজিকে কেন্দ্র করে খোলা ইউটিউব চ্যানেল Avatar-এ ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ সিনেমাটির ট্রেলার অবমুক্ত করা হয়। যেখানে দেখা গেছে অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর পানির নিচের এক জগতের গল্প।
সুলি পরিবারের গল্পে নির্মাণ করা হয়েছে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’। যে পরিবারে আছে জেক, নেইটিরি এবং তাদের সন্তানেরা। এবারের গল্পে একে অপরকে রক্ষা করা, যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার কাহিনি উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবারের কিস্তিতেও আগের পর্বের মতো ভিন্ন জগতের গাছ, লতা-পাতা, বিভিন্ন প্রানী দিয়ে সাজিয়েছেন জেমস ক্যামেরন।
নির্মাতা ট্রেলারটি তার নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেও শেয়ার করেছেন। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘প্যান্ডোরা এই ডিসেম্বরের জন্য অপেক্ষা করছে।’’ এবারের সিনেমাটিতে পরিবার গুরুত্ব পাবে তার একটি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল মে মাসে মুক্তি পাওয়া টিজারে। ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের টিজারে কিছু সংলাপ ছিল। সেটি ছিল এমন, ‘‘আমি একটা কথাই জানি, আমরা যেখানেই যাই, এই পরিবারটিই আমাদের দুর্গ।’’
এর আগে যখন টিজার প্রকাশ করা হয় তখন এই সিনেমার প্রযোজক জন ল্যান্ডউ বলেছিলেন, ‘‘জেমস ক্যামেরনের স্ক্রিপ্টগুলো সব সময় সর্বজনীন। এর চারটি সিক্যুয়াল হবে। যার প্রতিটির কেন্দ্রে থাকবে সুলি পরিবার। প্রতিটি গল্প হলে আলাদা আলাদা এবং সবগুলোর শেষটাও হবে ভিন্ন। প্রতিটি ফিল্মের জন্য একটি পরিপূর্ণ রেজ্যুলিউশন থাকবে। আবার চারটি মিলে তৈরি হবে একটি বৃহত্তর মহাকাব্যিক কাহিনি।’’
হাঙ্গামা/এলেক্স