চৌগাছায় পুলিশের এসআই মারুফের বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ



চৌগাছা প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান মারুফের বিরুদ্ধে ভুক্তোভোগীর প্রতিপক্ষের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ গ্রহণের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তোভোগী স্নেহলতা পারভীন এসআই মারুফ লাবলু হোসেন, আশরাফ উদ্দিন ও হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট বিভিন্ন সময় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।

ভুক্তোভোগী স্নেহলতা পারভীন, পিতা মৃত হায়দার আলী চৌগাছা থানার মাকাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, প্রায় ৪বছর ধরে ৪০ বিঘা জমি নিয়ে তারই ভাই ব্যারিস্টার এ কে এম মর্তুজা রাসেলের সঙ্গে পরিবারের সকলের বিরোধ চলছে।  স্থানিয় কিছু লোক ব্যারিস্টার রাসেলের হয়ে আমাদের উপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে। স্থানীয় দুষ্ককৃতিকারীরা বিভিন্ন সময় প্রাণ নাসের হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়া তারা কয়েক লক্ষ টাকার মূল্যবান গাছ কর্তন, দুইটি পুকুরের মাছ লুট, ফসল লুট করেছে। যে বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলেও কোন সমাধান হয়নি। 

তিনি বলেন, স্থানীয় কিছু সাধারণ মানুষ এসকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে নানাভাবে তাদের হয়রানি করা হয়। যারমধ্যে মাকাপুর গ্রামের বাসিন্দা ছানাউল্লাহ অন্যতম। ছানাউল্লার বাড়ি থেকে ওসির নির্দেশে ২৫ বস্তা ধান জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে আবেদনের ভিত্তিতে যশোর জজ কোর্ট সে ধান ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা বুঝিয়ে দেয়নি চৌগাছা থানা।

স্নেহলতা অভিযোগ করেন, মাকাপুর গ্রামের হামজা, ছামসার, খালিদ হাসান, শফিকুল, রবিউল, নুর হক, ফিরোজ, দুখু মিয়া, নাহিদ হাসান, কাজেম ও লিটনের নেতৃত্বে ভিবিন্ন সময় আমাদের জমি দখল ও ফসল লুট করা হয়েছে। সর্বশেষ পাট লুটের ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে ওসি আনোয়ার মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। অপরদিকে প্রতিপক্ষ থেকে অর্থ গ্রহণ করে গত ৭ মাসে আমার পরিবারসহ গ্রামের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ৫টি হয়রানি মামলা নিয়েছে চৌগাছা থানা। 

তিনি বলেন, আর্থীক সুবিধা নিয়ে এসআই মারুফ নিজে বাদি হয়ে ১৩৬ জন নিরহ গ্রামবাসীকে আসামী করে মামলা করেন। সেখানে নির্দোষ মানুষদের জেল হাজত খাটতে হচ্ছে।

তিনি দাবি করেন, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চৌগাছা থানার এসআই আশরাফ হোসেন সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। যার অপকর্মের অন্যতম সঙ্গি ছিলেন এসআই মারুফ । তবে ওসির সুনজর থাকায় বারবারই রয়ে গেছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। 

অভিযোগের বিষয়ে এসআই মেহেদী হাসান মারুফ বলেন, ‘যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা সম্পুর্ন মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণেদিত। ঘুষ গ্রহণ বা কোন ধরণের হয়রানিমুলক কাজের সঙ্গে আমি জড়িত নই। তিনি স্নেহলতা নামের কোন নারীকে চেনেন না বলেও দাবি করেন।

এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে মোবাইল নাম্বারে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url